পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৪৭ বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষয় হইল – কণ্ঠস্বর। কণ্ঠস্বর এইরূপ প্রকম্পনে নানাভাবে পরিবর্তিত হয়। যােগী যখন উচ্চমার্গে অবস্থান করেন, তখন তাহার শরীরের বর্ণ, চক্ষুর দৃষ্টি, কণ্ঠের স্বর, এমন কি অবয়ব পর্যন্ত - সকলেরই, এইরূপ পরিবর্তন হয়। চলিত কথায়, ইহাকে নরদেহ ত্যাগ করিয়া দেবদেহ ধারণ করা বলা হয়। ব্রহ্মানন্দ এইরূপ ‘দেবদেহ' বা ‘জ্যোতির্ময় তনু’ প্রাপ্ত হইয়াছিল। ব্রহ্মানদের আকর্ষণী শক্তি - - ব্রহ্মানন্দকে দেখিতাম যেন সে সকলকেই আকর্ষণ করিয়া নিজকেন্দ্রে টানিয়া আনিত। শেষ কয়েক বৎসর বিশেষ আর কিছু কথাবার্তা কহিত না, অধিকাংশ সময় ধ্যানমগ্ন থাকিত ; কিন্তু তাহার প্রত্যেক লােমকূপ দিয়া আকর্ষণী-শক্তি নির্গত হইয়া সকলকেই আকৃষ্ট করিত। এই আকর্ষনী-শক্তি কি? মন যখন স্কুল-স্নায়ুতে থাকে, তখন তাহার উপর ‘রক্ষণশীল আবরণী শক্তি বা – Protective energy দুই বা আড়াই ইঞ্চি পরিমাণ পুরু হইয়া থাকে; ইহাকে Effluvium (এফ্লভিয়াম) বলে। এই ‘এক্ষুভিয়াম বা সূক্ষম-পরমাণু সকল, চঞ্চল বা দোদুল্যমান অবস্থায়, ত্বকের উপরিভাগ আবরণ করিয়া রাখে। নীচ প্রবৃত্তির লােকের এই আবরণী কৃষ্ণ বর্ণের হইয়া থাকে এবং অস্পষ্টভাবে বা অসাম্যভাবে - Unrhythmically, প্রকম্পন করে।

=