পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান কারণ-শরীর বলা হয়। তাপস এই কারণ-শরীর বহুদূর পর্যন্ত - দেশ, কাল, নিমিত্ত, ইত্যাদির অতীতে, প্রসারণ করিতে পারেন। কারণ-শরীরে, দেশ, কাল, বহু অংশে বিদূরিত হইয়া যায়। এইজন্য, কোন সাধকের ভাব অল্পদিন স্থায়ী হইয়া বিলুপ্ত ও ত্যাজ্য হইয়া যায় এবং পরিশেষে আকর্ষণীর কেন্দ্র বিরক্তির কেন্দ্র হইয়া উঠে - Centre of attraction becomes the centre of repulsion. ইহা হইল হুল-শরীরের লক্ষণ ; কিন্তু, চিত্ত যখন সূক্ষ্ম বা কারণ-শরীরে যায়, তখন অন্যবিধ ভাব হইয়া থাকে। এই অবস্থায় যে সকল চিন্তা প্রসূত হয়, তাহা সমস্ত জগতে পরিব্যাপ্ত হয় এবং চিরস্থায়ী হয়। এই অবস্থায় পৌছাইলে, সত্য উপলব্ধি - Realisation of Truth হয়। গৌতম বুদ্ধ, তপস্যার চরম অবস্থায় মন তুলিলে, এই কারণ-অবস্থায় পৌছাইয়াছিলেন এবং সৃষ্টির আদি কারণ - দ্বাদশ নিদান # আবিষ্কার করিয়াছিলেন। অপরমতে এই অবস্থার বিষয় বর্ণনা করা হইয়াছে—“নিবাত নিস্পন্দ তােয়ে, মায়া ছবি প্রতিফলে।” স্বামিজীর রচিত সঙ্গীতে এই ভাব প্রকাশ করিতেছে - “অক্ষুট মন-আকাশে, জগত সংসার ভাসে।” ইহার পর আর

  • ১। অবিদ্যা। ২। সংস্কার। ৩। বিজ্ঞান। ৪। নাম রূপ। ৫। ষড়ায়তন। ৬। স্পর্শ। ৭। বেদনা। ৮। তৃষ্ণা। ৯। উপাদান। ১০। ভুব। ১১। জাতি। ১২। জবা মৃত্যু দুঃখ দৌমনস্য। কার্য-কারণ-তত্ত্বের বিষয় ও পরিণাম বলিয়া এইগুলিকে দ্বাদশ নিদান বলা হয়। ইতি-স।