পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৫১ এক উচ্চ অবস্থা আছে, তাহাকে মহাকারণ অবস্থা বলা হয়। ইহা সাধারণ অবস্থায় চিন্তার অতীত। এই সকল হইল যােগীর মনােবৃত্তির সংক্ষিপ্ত আভাস। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের ও স্বামী বিবেকানন্দের কারণ-শরীর বা ভাবদেহের কতদূর বিস্তৃতি হইয়াছে ও হইতেছে, তাহা এখন সকলেই বুঝিতে পারিতেছেন। ভারতবর্ষ হইতে সুদূর পাশ্চাত্যদেশ পর্যন্ত তাহা বিস্তৃত হইয়াছে। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের ও স্বামী বিবেকানন্দের ‘ভাবদেহ’ সমস্ত ভারতবর্ষকে পরিব্যাপ্ত করিয়া, মহাতরঙ্গ তুলিয়া, জগতের বিভিন্ন দেশে প্রধাবিত হইতেছে। ইহা হইল কারণ-দেহের বা মহাকারণ-দেহের প্রক্রিয়া। এখন সকলেই বেশ বুঝিতে পারিতেছেন যে, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দ কত উচ্চ অবস্থায় উঠিয়াছিলেন। ব্রহ্মানন্দ ও শিবাননের ভিতর এই ভাবটী বা অবস্থাটা বহুবার দেখিয়াছি। এইজন্য উভয়কেই খুব উচ্চমার্গের যােগী বলিতেছি।

« | শেষজীবনে ছেলেবেলাকার ভাব ও বংশের ছাপ জীবনের শেষ অবস্থা পর্যন্ত রাখাল মহারাজের কৌতুক ও রহস্যপ্রিয় ভাবটা ছিল। ছেলেবেলায় ফষ্টিনষ্টি করিত এবং আষাঢ়ে-চাষাঢ়ে গল্প বলিত, শেষকালেও সেই ভাবটী ফিরিয়া আসিয়াছিল। লােকবিশেষের সহিত ফষ্টিনষ্টি করিত ও ছেলেবেলাকার গল্প করিত। ছেলেবেলাকার কুস্তি-লড়ার সখও শেষ পর্যন্ত ছিল। মাঝে মাঝে মঠে ছেলেদের কুস্তির -