পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৬৩ ঠাট্টা ক’ছে, আর তােকেও কত ঠাট্টা ক’ছে।” স্বামিজী এই কথা শুনিয়া তখনই বলিয়া উঠিল, “দেখবি, বিবেকানন্দ কি?” এই বলিয়া চকিতের মধ্যে স্নায়ুপুঞ্জ বিবর্তন করিয়া তাহাদের দিকে মুখ ফিরাইয়া তীক্ষ্ণদৃষ্টি করিয়া চাহিল; আর সেই মহা তেজোপূর্ণ মুখ দেখিয়া ছেলেগুলি সকলে ভয়গ্রস্ত হইয়া দৌড়াইয়া পলাইল। স্বামিজী পরক্ষণেই ছেলেবেলার নরেন্দ্রনাথরূপে কথা কহিতে লাগিল। এই উপাখ্যানটীর বিষয় অনেক কিছু ভাবিবার আছে। কেন একজন লােক উন্নতি করিতে পারিল, আর অপর একটা লােক সামান্য গেঁজেল হইয়া রহিল ? বুঝিতে হইবে, ইহা কেবল বিক্ষিপ্ত শক্তি ও সংরক্ষিত শক্তির বিভিন্ন প্রভাব। ইহাই হইল মহাপুরুষ ও সাধারণ লােকের ভিতর পার্থক্যের কারণ। এস্থলে স্বামিজীর স্নায়ুপু-সংরক্ষণ-ক্রিয়া বিশেষভাবে বুঝিবার বিষয় - কি করিয়া এক দেহে নরেন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দ হইতে পারে ? মহাভারতে বর্ণিত অর্জুনের এই শক্তি ছিল। তিনি একাধারে ও এককালে বৃহন্নলা ও সব্যসাচী হইতে পারিতেন। কর্ম্মজীবনের শেষে ব্রহ্মানন্দ কর্মজীবনের শেষ অবস্থায় সতীর্থ ও অন্তেবাসীদিগকে লইয়া কখন কাশীধামে, কখনও বা হরিদ্বারে পরিভ্রমণ করিত। শেষকালে মাদ্রাজের নানাস্থানেও পরিভ্রমণ করিয়াছিল।