পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ET ১০ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ভূতের গল্প বলিত। সে চোখ মিটমিট করিত ও নানারকম মুখভঙ্গী করিত, আর আষাঢ়ে চাষাড়ে পাড়াগেঁয়ে গল্প বলিত। আমার তাহা ভাল লাগিত না, আমি গল্প শুনিতাম না। আমি মাঝে মাঝে বলিতাম, “বােকা হেড়া, কি আষাঢ়ে চাষাড়ে গল্প বল্‌ছে, এ আবার লােকে শুনবে!” আমি অনেক সময় অবজ্ঞা করিয়া চলিয়া আসিতাম। তখন মনােমােহনদার ‘বাবু নামে এক আত্মীয় ছিল। বাবু’ ছেলেটীর সহিত রাখালের গল্পটা বেশ জমিত। যেমন বক্তা, তেমন শ্রোতা। দুইজনে বেশ ভাব ছিল। বাবু’ কিছুদিন পরে মারা যায়। কত দেখান আমাদের একটী উড়ে চাকর আসিল। সে একেবারে নৃতন ও অতিশয় বােকা। রাখাল তাহাকে লইয়া বেশ হাসিতামাসা করিত। একদিন সন্ধ্যার সময় রাখাল মাথা হইতে পা পর্য্যন্ত এবং দুই হাতের উপর সাদা কাপড় মুড়ি দিয়া হাত নাড়িতেছে। সাদা কাপড় উড়িতে থাকায়, দেখিতে একটা ভূতের মতন হইয়াছে। বােকা উড়ে চাকরটা ঠিক সেই সময় সেই ঘরটাতে ঢুকিতেছে। প্রদীপ জ্বালা হয় নাই। চাকরটা ত ভূত দেখিয়া চীৎকার করিয়া পলাইয়া আসিল। সে মহা হৈচৈ করিতে লাগিল। ইতিমধ্যে রাখাল কাপড়গুলি খুলিয়া ফেলিয়া, সাদাসিদে হইয়া, সাউথুড়ি করিয়া তাহাকে ভূতের নানাপ্রকার