পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১১ কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, যেন নিজে কিছুই জানে না। চাকরটা একটু আশ্বস্ত হইলে আমরা সকলে হাসিতে লাগিলাম। মাতাল মারা তখনকার দিনে সিমলাতে মাতালের বড় উৎপাত ছিল। অনেক ভদ্রলােক শনিবার আফিস হইতে আসিয়া, মদ খাইতে শুরু করিয়া অনেক রাত্রি পর্যন্ত উৎপাত করিত এবং রবিবার সকলে দল বাঁধিয়া বসিয়া হল্লা করিত। রাস্তার দুইধারে তখন পগার ছিল , এখনকার মত খােয়া-পেটা রাস্তা হয় নাই। মাতাল বাবুরা পাঁকের ভিতর গিয়া শুইয়া থাকিত। আমরা তখন মাতাল বিরােধী দল। শনিবার সন্ধ্যার সময় পাড়ার সব জোয়ান ছেলেরা এক হইয়া মাতাল বাবুদের তাড়াহুড়া করিতাম। সুবিধা হইলে ধাকাও দিতাম এবং পিঠেও দু'এক ঘা দেওয়া হইত। এই হইল তখনকার দিনের কথা। কোন এক ভক্ত তাহার নূতন জামাইকে লইয়া বেলুড় মঠে রাখালকে প্রণাম করিতে আসিয়াছিল। ভিতরকার বারাণ্ডার বড় বেঞ্চির একদিকে রাখাল বসিয়াছিল এবং আর একদিকে আমি বসিয়াছিলাম। সময়টা সন্ধ্যাকাল। রাখাল নূতন জামাইটাকে তাহার নাম ও তাহার পিতার নাম জিজ্ঞাসা করিল। পিতার নাম শুনিতেই রাখাল হাসিয়া ফেলিয়া আমায় বলিল, “শুনছে। ভাই, ছেলেটী অমুকের বেটা!” এই বলিয়া হাসিতে লাগিল। পাছে, ছেলেটী অপ্রতিভ হয়, এইজন্য আমি হাসিতে হাসিতে