পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান সে কাহারও সহিত ঝগড়া করিত না। যাহাকে বলে হাস্যপূর্ণ দুষ্টামীwitty mischief-সে তাহাই করিত; কিন্তু সে কখনও কাহারও সহিত ঝগড়া করে নাই, সকলের সঙ্গে মিষ্টভাবে কথা বলিত, সকলের সহিত মিশিতে পারিত, ভালমন্দ সব ছেলের সহিত মিশিত। পাড়ার ভিতর সে সকলেরই প্রিয় হইয়াছিল। সকলেই রাখালকে স্নেহ-যত্ন করিত। সিমলার ছেলে বলিয়া আমাদের একটা গর্বের ভাব ছিল এবং আমরা সর্ববিষয়ে মাত্রা অতিক্রম করিয়া কার্য্য করিতাম, কিন্তু রাখালকে দেখিতাম যে, সে স্থির ও ধীর থাকিত, প্রচণ্ড ভাব তাহার ছিল । সে শান্ত, স্থির, ধীর, গম্ভীর ও অমায়িক ভাবাপন্ন ছিল। বাল্যকালের এই সকল গুণ ভবিষ্যতে তাহার ভিতর মহাভাবে বিকাশ পাইয়াছিল। অনুগত আজ্ঞাবহ ভাৰ ১৮৮৪ বা ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে, গ্রীষ্মকালে, আমাদের পড়িবার ঘরে নরেন্দ্রনাথ ও রাখাল রাত্রে পাশাপাশি শুইয়া আছে। খানিক রাত্রে দুইজনের ভিতর তর্ক উঠিল। রাখাল বলিল যে, নরেন্দ্রনাথ অনেকদিন জিন্যাষ্টিক করা ছাড়িয়া দিয়াছে, সে এখন Peacock march বা উদ্ধাপদে ভ্রমণ করিতে পারে না। এই তর্ক উঠিলে এক টাকা বাজী রাখা হইল। অর্ধেক রাত্রে দুইজনে উঠিয়া সম্মুখের দালানে জিমন্যাষ্টি সুরু করিল। নরেন্দ্রনাথও