পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৯ মালকেঁচা মারিয়া দালানটাতে উদ্ধপদে ভ্রমণ করিতে লাগিল, আর রাখাল সঙ্গে সঙ্গে চলিতে লাগিল। পার্শ্বের ঘরে যাহারা শুইয়াছিল, তাহাদের ঘুম ভাঙ্গিলে বকাবকি সুরু করিল, “কি উৎপেতে ছেলে, আদ্দেক রাতে উঠে জিমন্যাষ্টি শুরু করেছে। ছেড়া দুটো মাথাপাগলা, একটু বিবেচনা নেই যে লােক ঘুমুচ্ছে।” কথাটাই ঠিক! নরেন্দ্রনাথ জগতটাকে উল্টা দিক হইতেই দেখিয়া যাইল, পায়ে হাঁটিয়া চলিল না, পা উচু করিয়া হাত দিয়া চলিল, ঘুমন্ত মানুষের ঘুম ভাঙ্গাইল এবং নিরীহ রাখাল অনুগত আজ্ঞাবহের ন্যায় সমস্ত জীবনটাই সঙ্গে সঙ্গে রহিল। জীবনের একটী সামান্য ঘটনাতে যে ভাবের ও শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়, অন্যান্য ঘটনাগুলিতেও সেই ভাবের ও সেই শক্তিরই পরিচয় পাওয়া যাইয়া থাকে। একই ভাব ও একই শক্তি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় ভিন্নরূপে প্রতিভাত হয় মাত্র। নরেন্দ্রনাথের প্রতি আকর্ষণ রাখাল সর্বদাই যেন অপরের পিছনে থাকিয়া আশ্রয় চাহিত। নরেন্দ্রনাথ যেমন তেড়েফুড়ে অগ্রসর হইয়া সম্মুখে যাইয়া ঝগড়া ও সরফরাজি করিত, রাখাল তাহা করিত না। রাখাল অপর একজনকে সম্মুখে রাখিয়া, পিছনে থাকিয়া বুদ্ধির চাল দিতে থাকিত। দুইজনের ভিতর এইটাই বড় তফাৎ দেখিতাম।