পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান গােবিন্দচন্দ্র দত্তের বাগানে, যেখানে ‘গােপালের মা’ বাস করিতেন, সেই বাগানে গিয়াছিল। নৌকাখানা দক্ষিণেশ্বর হইতে যাতায়াতের ভাড়া করা হইয়াছিল। মধ্যাহ্নে আহার করিয়া পরমহংস মহাশয় একটু বিশ্রাম করিতে লাগিলেন। যুবা রাখাল মাদুরে শুইয়া একটু নিদ্রিত হইল। অল্পক্ষণ পরে পরমহংস মহাশয় যুব রাখালকে ডাকিতে লাগিলেন। যুবা রাখাল তখন নিদ্রাচ্ছন্ন, এইজন্য উঠিতে চাহিল না। অবশেষে পরমহংস মহাশয় গা ঠেলিয়া তাহাকে উঠাইয়া বলিলেন, “গাছ টাছা গুছিয়ে নাও, চল, নৌকায় গিয়ে বসিগে।” নিদ্রাচ্ছন্ন রাখাল নানাপ্রকার ওজন করিতে লাগিল। তিনি রাখালকে জোর করিয়া নৌকায় লইয়া গিয়া বসিলেন। নৌকাটা ছাড়িয়া দিলে, পরমহংস মহাশয় বলিলেন, “ওরে ! ওখানে থাকা উচিত নয়, দেখলুম, একটা মুসলমান—বড় বড় দাত বার করা, পেটটা চেরা, নাড়ীভুড়ি বেরিয়ে পড়েছে, বিকট চেহারা—সেইটা ঐ গাছ থেকে আমায় ব’তে লাগল, এখান থেকে চলে যাও, আমার বড় কষ্ট হচ্ছে! এটা ঐ পাতড়ে থাকে, আর কলের সাহেবদের এঁটোকাটা যা পড়ে থাকে তাই খায়। বােধ হয় ওটাকে পেট ফেঁড়ে মেরে ফেলেছিল। পাছে তুই দেখে ভয় পাস, তাই তােকে ডেকে নিয়ে এলুম।” শ্যামপুকুরে পরমহংস মহাশয়ের শরীর অসুস্থ হইলে চিকিৎসার জন্য তাহাকে শ্যামপুকুরের এক বাড়ীতে আনা হইল। এইখানে