পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান | ৩১ কারণ তাহাদিগের আশ্রয় একেবারে ভাঙ্গিয়া যাইবে। এই সময় সকলের মন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইল। পরদিন কি হইবে বা কি করিবে তাহা কেহ স্থির করিতে পারিতেছিল না। পরমহংস মহাশয় দেহত্যাগ করিলেই বা কি করা হইবে, তাহাও কেহ স্থির করিতে পারিতেছিল না। চারিদিকে অন্ধকার, চারিদিকে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। যুবা রাখালকে দেখিলাম—অতি ধীর, শান্ত হইয়া গিয়াছে, সর্বদাই নীরবে বসিয়া জপ করিতেছে। দেখিলাম, তাহার পূর্বকার বালকের মত চাপল্য-ভাব ধীরে ধীরে চলিয়া যাইতেছে এবং যেন আর এক ভাব আসিতেছে। সিমলার রাখাল চলিয়া যাইয়া সাধু রাখালের অঙ্কুর প্রথম দেখা দিল। বিশেষত, রামদাদা ও মনোেমােহনদাদা সব সময় নিকটে থাকায় রাখালের আর চাপল্য-ভাব রহিল না। রাখালের ভাব অতি মৃদু হইল, তাহার কণ্ঠে মধুর স্বর আসিল। কিন্তু সে তখনও পন্থা নির্ধারণ করিতে পারে নাই। মনটা দোদুল্যমান হইতেছে-পুনরায় গৃহে ফিরিয়া যাইবে, কি অন্য পন্থা লইবে ? এই সময়টায় একটা মহাসঙ্কটস্থল উপস্থিত হইয়াছিল। সাধুজীবন কি তাহাও তাহারা জানে না, আবার বাড়ীতে ফিরিয়া আসিতেও আর ভাল লাগিতেছে না। এই হইল সঙ্কটস্থল! সকলের ভিতরই দেখিয়াছি যে, পূর্বকার চাপল্য-ভাব চলিয়া যাইতেছে এবং তাহা যে অতিক্রম করিতে হইবে—সেই ভাবটা ধীরে ধীরে তাহাদের মধ্যে আসিতেছে।