পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৩৫ ও ত্বরিতভাবে বলিল, “লাটুকে অমন করে ব’তে নেই, লাটু এখন সাধু হ'য়েছে।” সেই হইতে আমরা লাটুকে সমান দরের লােক বলিয়া মনে করিতাম এবং তাহার সহিত পূর্ব সম্পর্ক ও ভাব ত্যাগ করিলাম। যুবা রাখাল এই কয়েক দিন বা কয়েক মাস ঠিক কি করিয়াছিল বা কোথায় ছিল তাহা লক্ষ্য করি নাই। সম্ভবত রাখাল এই সময় মনােমােহনদাদার বাড়ীতে আসিয়া ছিল , কারণ, তখন বােধ হয় বরানগরের মঠ হয় নাই। আমার এ বিষয়ে বিশেষ স্মরণ নাই। যাহা হউক, বরানগরে মঠ হইলে পর, পরমহংস মহাশয়ের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি তথায় আনা হইল। যুবকবৃন্দ একে একে সেইখানে যাইয়া উপস্থিত হইল এবং সেইখানে একটি সঙন আপনা-আপনি গড়িয়া উঠিল। . বরানগর মঠে তপস্যা মনের ভাব দিয়া বুঝিতে হইলে বরানগর মঠের প্রথম অবস্থাটা জগতে এক অতি আশ্চর্যের বিষয় বলিয়া বােধ হয়। প্রাচীন গ্রন্থে পাওয়া যায় যে এক ব্যক্তি নিজস্বভাবে কঠোর তপস্যা করিতেছে। কিন্তু একটা ভাঙ্গা বাড়ীতে থাকিয়া, অনাহার ও অনিদ্রার ভিতর, এইরূপ সমষ্টিভাবে কঠোর তপস্যা করা জগতের ইতিহাসে অতি বিরল। একদিকে জগতের শক্তি পিষিয়া মারিয়া