পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু এমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৩৯ রাখিত। কোন কাজকর্ম্ম—জল তােলা বা বাসন মাজা ইত্যাদি তাহাকে করিতে দিত না এবং সকলেই একটা বিশেষ শ্রদ্ধা বা ভালবাসার চক্ষে যুবা রাখালকে দেখিত। রাখাল সেই সময় নিতান্ত নিরাশ্রয় হইয়াছিল ও ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছিল। এক মন, এক প্রাণে সে সব সময় জপ করিত, কাহারও সহিত বিশেষ কথাবার্তা কহিত না, গােলমাল। হৈচৈএর ভিতর যাইত না। যাহাকে বলে নিঃসঙ্গ ভাব, নিরাশ্রয় ভাব—সেইটা পূর্ণমাত্রায় রাখালের ভিতর দেখা যাইল। সে আর সিমলার রাখাল রহিল না, অপর এক রাখাল হইতে লাগিল। | সিমলায় থাকিবার সময় রাখালের অতিশয় চাপল্য ভাব। ছিল। সে হাসি, তামাসা, ভূতের ভয় দেখান, আষাঢ়ে চাষাড়ে গল্প বলা এবং চোখ মিটমিট করিয়া নানারকম মুখভঙ্গী করিয়া লােকের সঙ্গে কৌতুকাদি করিত। কিন্তু বরানগর মঠে সাধু হওয়া পর্যন্ত, অল্প দিনের ভিতর তাহার মনের ভাব একেবারে বদলাইয়া যাইল। আর সে পুরানাে রাখাল—ছেলে মানুষ, ভ্যা-ভ্যাদে, বােকা-হাবা রহিল না। ধীর, গম্ভীর, অল্পভাষী, কণ্ঠস্বর করুণাপূর্ণ--আর সর্বদাই জপ করিতেছে। পূর্বকার রাখালের আর কোন চিহ্নই রহিল না। সে যেন সহসা কঠোরতপস্বী রাখাল হইয়া গেল। রাখালের এইরূপ অতি আশ্চর্য্য পরিবর্তন হইয়াছিল। এইরূপ পরিবর্তনটা সকলেই লক্ষ্য করিয়াছিল।