পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান “দে গাে ভিক্ষা দে। আমি নূতন যােগী, ফিরি কেঁদে কেঁদে । ওগাে ব্রজবাসী, তােদের ভালবাসি, ওগাে তাই তাে আসি, দেখ, মা উপবাসী, দেখ, মা দ্বারে যােগী, বলে-“রাধে রাধে। বেলা গেল যেতে হবে ফিরে, একাকী থাকি মা যমুনা তীরে, আঁখিনীর মিশে নীরে,চলে ধীরে ধীরে ধারা মৃদু নাদে।” -গিরিশচন্দ্র। একজন বড় মানুষের ছেলে, মুখে লালিত—স্ত্রী, পুত্র, ও বিষয়-সম্পত্তি সব ত্যাগ করিয়া, শুধু পায়ে বৃন্দাবনে মাধুকরী করিয়া খাইতেছে ; ভগবান লাভের জন্য স্বেচ্ছায় ভিখারী হইয়া অপরের প্রদত্ত অন্ন খাইতেছে। অথচ, তাহার পিতার গৃহে বহু দাস-দাসী ও অতিথি-অভ্যাগত আহার করিতেছে। তাহার পা অতি কোমল ছিল, কিন্তু এমনই তীব্র বৈরাগ্যের ভাবে সে প্রণােদিত হইয়াছিল যে, প্রচণ্ড উত্তাপে শুধু পায়ে পথে পথে ঘুরিয়া বেড়াইত ও অনবরত জপ করিত। কি করিয়া ভগবান লাভ করিবে তাহাই তাহার একমাত্র চিন্তা, ধ্যান ও জ্ঞান ছিল। বুদ্ধদেবের এইরূপ একটা অবস্থা হইয়াছিল। গৌতম বহুদূর পর্যটন করিয়া অবশেষে গৃধ্রুকুট বা ব্রহ্মযােনি পৰ্বতের শিখরে আসিয়া বসিলেন ও ভাবিতে লাগিলেন—“জীবনে