পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ‘সঙ্কেত। রাখালের কোমল শরীর, কিন্তু তাহা হইলেও সে কি কষ্টই না করিয়াছিল। ভগবান লাভের জন্য প্রাণে কি আকুলি-বিকুলি ভাব লইয়া তাপস রাখাল মাঠে মাঠে, পথে পথে বেড়াইয়াছিল। “রাধা বই আর নাইকো আমার রাধা বলে বাজাই বঁাশী। মানের দায়ে সেজে যােগী, | মেখেছি গায় ভস্মরাশি। কুঞ্জে কুঞ্জে কেঁদে কেঁদে, রাধা নাম বেড়াই সেধে। যে মুখে বলে রাধে, তারে বড় ভালবাসি।” --গিরিশচন্দ্র। এই সকল কবির কল্পনা বা ভাবােচ্ছাস হইতে পারে, কিন্তু, তাপস রাখালের জীবনে প্রকৃতই ইহা ঘটিয়াছিল। ভগবান লাভ ব্যতীত সে অন্য কিছু জানি না। ঠিক যেন তাহার প্রাণ বলিত “কঁহা মেরা বৃন্দাবন, কঁহা যশােদামায়ী। কঁহা মেরা নন্দ পিতা, কঁহা বলাই ভাই। কঁহা মেরি ধবলী শ্যামলী, কঁহা মেরি মােহন মুরলী, শ্রদাম সুদাম রাখিলগণ কঁহা মে পাই। কঁহা মেরি যমুনাতট, কঁহা মেরি বংশীবট, কঁহা গােপনারী মেরি, কঁহা হামারা রাই।” গিরিশচন্দ্র।