পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান গিয়াছিল। মীরাবাঈয়ের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটীকে ‘শ্রীনাথজী নাথ দোয়াড়—‘নাথ দ্বার'—বলা হয়। রাখাল একদিন ‘নাথ দোয়াড়া’র অনেক কথা আমাকে বলিতে লাগিল। শ্রীনাথজীর ভােগরাগাদি কিরূপ হয় সে সব কথাও অনেক উঠিল। উহা হইতে মােটামুটি এই বুঝিয়াছিলাম যে, উত্তর ভারতবর্ষের শ্রীনাথজীর মন্দিরের ন্যায় এত ধনাঢ্য মন্দির আর কুত্রাপি নাই। শ্রীনাথজীর আয় একজন রাজার আয়ের সমান। কত লক্ষ টাকা যে আয় তাহা যদিও নিশ্চিত জানা নাই, তবুও বলিয়া বােধ হয় যে, উহা অনেক লক্ষ টাকা হইবে। এই সময় রাখাল রাজপুতানার অনেক জায়গায় | গিয়াছিল। সে সব বিষয় বিশেষ উল্লেখযােগ্য নহে। সে আবু পাহাড়ে গিয়া কিছুদিন ছিল। মাঝে মাঝে আৰু পাহাড়ের কথা বলিত। লণ্ডনে অবস্থানকালে স্বামিজী বলিয়াছিল, “আৰু পাহাড়ে রাখালটাকে বললুমক্ষেত্রীর রাজাকে বলে তােদর একশ’ টাকা মাসহরা করে দিচ্চি। দুঃখে-কষ্টে মছিস, তােদের একশ’ টাকায় চলতে পারে। কিন্তু রাখালটার তখন বৈরাগ্য হলাে, আমিও বিরক্ত হয়ে কিছু বললুম না। রাখালটা যদি তখন টাকা নিত, তাহলে একরকম চলত”—ইত্যাদি। রাজপুতানার নানাস্থানে ভ্রমণ করিয়া, রাখাল গুজরাটের দিকে যায়। সে গুজরাট প্রদেশে দ্বারকা, পােরবন্দর, গিরনাথ পাহাড় প্রভৃতি স্থানে কিছুদিনের জন্য বাস করিয়াছিল।