পাতা:অতিথি (প্রথম বর্ষ ১৯৩০).pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন ] রতু ধীৰে ধীরে বীণার মুখের উপর চোখ দুটা তুলিয়। দেয় বলে, “সব কেমন লাল টকটকে হয়েছে !” বীণা তাড়াতাড়ি বলে, “তোকেও খুব ভালো লাগচে ।...দেখ, আজকের সন্ধ্যেটা দিনের চেয়েও ভালো, Fil ?” বালক উত্তর না দিয়া বীণার মুখের দিকে তাকাইয়া থাকে, যেন কি সেখানে হারাইয়া গিয়াছে ! বীণ হাসিয়া বলে, “কি দেখ চিল্‌ অমন ক’রে ?” রতু থতমত খাইয়া বলে, “ঐ দেখ, আবার কি একট। ভেসে আসছে !” দু’জনে দূরে ঢেউএর দিকে তাকাইয় থাকে। বীণ। হাততালি দিয়া বলিয়া উঠে, “দেখ দেথ কি ফুলের গাছ ভেসে আস্চে !” রতু দূরে তাকায় ; বীণা বা হাতখনি তাহার কাদের উপর রাখিয়া ডান হাতখানি বাড়াই বলে, “ওখানে কি দেখ চিপ্‌ ? এই দেখ, কাছে, আমার আঙলের সোঞ্জা । আর ঘূণিতে পড়লে বলে। হরি করে ধীরে এসে লাগে !—মেলা ফুল ফুটে আছে।” রতু উৎফুল্ল হইয়া বলে, “হ্যা ইil দেখ গাছ ।” ঘূণিতে পড়িয়া গাছ ডুবিয়া যায় ; বীণা মুখখনি ছোট করিয়া বলে, “আর উঠবে না ?” 疊 রতু সাহস দিয়া বলে, “কেন উঠবে না ? যা পড়েচে, সবই তো উঠেচে ।” iছ,-- ফুলের সন্ধ্যামুখী ধীরে ধীরে উঠিয়া গাছট ধারে আসিতে লাগিল । “ঐ উঠেচে” বলিয়া বীণা তাড়াতাড়ি উঠিয়া রতুর হাত ধরিয়া টান দিয়া বলিল, “পারবি ?...বা—বা সন্ধ্যেমুখী ফুলের গাছ —রতু !” “কেন পারব না ? আর একটু ধারে আসতে দে।” বলিয়া রতু কাপড় গুটাইয়া উঠিয় দাড়াইল । বীণা ব্যথভাবে সেইখানে দাড়াইয়া রহিল। রতু ধীরে ধীরে জলের ধীরে গিয়া গাছ ধরিবার জন্য স্রোতের দিকে ঝুকিয়া হাত বাড়াইল । বালকের পিছনে দুই তিন হাত পর্য্যন্ত নদীর ধার আস্তে আস্তে ফাটিয়া স্রোতে ভাঙিয়া পড়িল । “বীণা" বলিয়। বালক চীৎকার করিয়া উঠিল । বানের জল তরঙ্গ তুলিয়া পূর্ব্ব মুখে ছুটিয়া গেল । বালিকা “রতু রতু" বলিয়া ধার পর্য্যস্ত ছুটিয়া আসিল, কিছুই দেখিল না : শুধু লাল জল শব্দ করিতেছে, ঘূর্ণি তুলিতেছে। দেখিল রতু নাই, সে একা। জলের কোল খেসিয়া তীরে বসিয়া শিবা’র জলে তাকাইয়া ब्र{श्नं । স্তব্ধ সন্ধ্য য় নদীতীরে আবার তীর ভাঙিয়া জলে পড়ার শব্দ হইল ; নদীর কলকল শব্দের উপর দিয়া ওপার হইতে শৃগালের চীৎকার শেন গেল ; রক্তসন্ধ্যার লাল তাভ রাত্রির ছায়ায় কলো হইয়া আসিল । STSMSTTSTST S SMS MAAASAAA S