পাতা:অতিথি (প্রথম বর্ষ ১৯৩০).pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতিথি সময়ে, শিউলি ব’ল্লে—বীথির সঙ্গে আপনার চেনা হ’ল কি ক’রে ? আমি আর একটা চুমুক দিয়ে বল্লাম, বীথিকে আপনি জানলেন কি ক'রে ?” শিউলি ব’ল্পে—আমি? আমরা যে একসঙ্গে l. A. পাশ করেছিলুম।.তারপর ও যায় ওর মা’র সঙ্গে Oxford-এ ওতো এসেছে এই বছর খানেক. আমি WEWR 5th year-q oifş চা খেতে খেতেই কথা চল ল । আমি বল্লাম—আমার সঙ্গে বীথির চেনা তুমি জানলে কেমন ক’রে ? শিউলি দুই হেসে বললে—খড়ি পেতে। আমি বললাম—বলবে না তো ? আপনার জেনে কি লাভ হবে ?...আমি একটু ভেবে বললাম—বুঝেচি l.শিউলি তখন একটু সঙ্কুচিত স্বরে ৰ’লে উঠল ‘কি ?” আমি বল্লাম—জানলে কি ক’রে ? लिखेनि তখন হেসে ব’ল্পে—ও:, তাই ভাল । আচ্ছা বলুন কি ক’রে ? “কাল তুমি নাট্যমন্দিরে গিয়েছিলে ।” ‘সত্যি, তাই।” আমি বল্লুম-তুমি এক ? ন, লীলা, ইলা—ওরাএ ছিল আমার সঙ্গে ।” তার পরেই শিউলি ব’ল্লে—Classএ গেলে না, সে কি নাট্যমন্দিরের করুণায় নাকি ? আমি বল্লাম—অনেকট তাই বটে । ‘তুমি গেলে না, কস্থর হ’ল আমার.সকলেই ওরা ঠাট্টা ক’রতে লাগল—কিগো, বিনয়বাবু কোথায় ? তখন আমার চায়ের Cupটা নি:শেষ হয়ে এসেছে— সেটা রাখতে রাখতে আমি একটু মুচ কে হেসে বল্লাম— ঠাট্টা কেন ? শিউলি তখন অস্বাভাবিক লজ্জায় তার মুখখান নামিয়ে নিলে । আমার এখনো মনে পড়ে—শিউলির লে কি গভীর লঙ্গা –সে-দিন থেকে বুঝেছিলাম শিউলি আমায় জুড়ে ব’সে আছে কতখানি । তখন মহাসমস্যায় পড়েছিলাম একধারে বীথি আর একধারে শিউলি ! সে ঘরে তখন আমি আর শিউলি...আর দু’জনের মাঝে এক অচঞ্চল নীরবতা । শিউলিই নীরবতা ছিন্ন ক'রে কথা বল্পে প্রথম । আমাকেই দোসী ক'রে বল্পে সে—বঃ, বেশ চুপ চাপ যে বড় ? আমি বল্লাম— কী রকম ? ‘নিজের কথাগুলো শুনে নিলেন. কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর দিলেন না ? তখন আমার মনে পড়ল—সে কী জানতে চায়— বীথির সঙ্গে আমার চেনা হ’ল কি সূত্রে ? আমি তখন বল্লাম—ওঃ, সে এক মহা ভয়ানকতার মধ্যে দিয়ে । শিউলি ফিক ক’রে হেসে উঠল, ব’লে ফেল্পে—ভয়ানকতার মধ্যেই কাব্যস্থধা ? আমি নিজেকে একটু সামলে নিরে বল্লাম—সে একদিন বিকেলবেলার কথা ? কপালকুণ্ডলা এ্যাভেনিউ-এ বিজয়দের বাড়ীর রকে ব'সে আছি এমন সময় একখানা Austin গাড়ী বাধারের পোলের ওপর থেকে নামৃছিল wers abnormal speed 4–wift wota for বলছিলাম—কি দুঃসাহস দেখ, এত জোরে গাড়ী চালায় ? ঠিক সেই সময়েই Austin গাড়ীটার সামনে একটা বোঝাই লর এসে পড়তে, বীথি Sudden একটা turn নিতে গিয়ে টাল সামলাতে পারল না—গাড়ীট রাস্তার boundary-বাধা শক্ত কাটে এসে এক ভীষণ ধাক্ক খেল, বীথি ছিটুকে এসে প’ড়ল আমার পায়ের কাছে, গাড়ীটা চ’লে গেল আর এক ধারে কাটটাকে ভেঙে চুরমার ক’রে । আমি তখন বীথিকে কোলে ক’রে তুলে বায়ুরে ঘরের তক্তপোষটাতে শুইয়ে দিলুম-বিজয় এর মধ্যেই এক বালতি ঠাণ্ডা জল এনে দিলে...আমি আস্তে আস্তে চোখে মুগে মাথায় ছিটিয়ে দিতে লাগলাম.-দুচার গাছি চুর্ণ ՏԵ