পাতা:অতিথি (প্রথম বর্ষ ১৯৩০).pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র ] রূপের (Symbol) প্রকাশে নূতন-নূতন ভাবের ধারায় সে-বেগ-খানি জানাইয়া যায়। সেই-বেগ-খানি বিশ্বের সংযোগ বলিয়া * উপমার মধ্যে কবিতার বিশ্ব-ভাবের (universality) স্পর্শ আমরা পাইয়া থাকি । একটু লক্ষ্য করিলেই আমরা দেখিতে পাই,-কোনো কোনো শিশুর কোনো কোনো বিশেষ রঙের প্রতি আশ্চর্ষ আগ্রহ। সেই রঙ-গুলি নহিলে তাঁহাদের চলে না । সে গুলি যেন তাহদের জীবনমরণ ! মানুষের অতিচেতন (Subconscious) মন তলক্ষ্যে কতকগুলি জিনিষের সহিত পরিচয় করিয়া লইয়া গোপন ঘনিষ্ঠ-সুত্রে আপনাকে বাধিয়া লয়। সেই খানে এত অদৃশ্য ভাবে তাহাদের দাবী-দাওয়া চলে যে, বহিরে সহসা আমরা বুঝিতে পারি না। আমাদের মনের প্রকাশের সময় সে গুলি কখন স্বতই বাহির হইয়া পড়ে । আমরা সেই গুলি ধরিয়া যদি চলিতে পারি, তবেই কবির মনটী অনেক পরিমাণে বুঝিতে পারি ; কারণ, অতিচেতন মনই মাহুষের প্রকৃত জীবন ...আমাদের চেতন জীবন তাহার কাজ-কর্ম্ম, চিন্তার মাঝে এতখানি নিরবকাশ ব্যস্ততা লইয়া দেখা দেয় যে তাহার মধ্যে অতি-চেতনের সন্ধান পাওয়া অনেক-থানি অসম্ভব । তাই স্বপ্নের মধ্যে স্বতই আশ্রয় লইতে হয় ; কারণ, সেখানে একটু মাত্র চেষ্টায় অতি-চেতনের ভাবগুলি আমরা ধরিতে পারি ...পূর্ব্বেই বলিয়াছি, আমাদের অতি-চেতন মন চেতন-মনের সম্পূক্ত কতকগুলি বস্তুর পরিচয়ে চেতন-মনের অগোচরে নিজেকে প্রকাশ করিয়া বসে ; চেতন মনের সেটুকুর আবিষ্কার, বেশীর ভাগই,— অন্ততঃ, আমার বেলা, অনেক দেরীতেই হইয়া থাকে। কবির উপমাই সেই অতি-চেতন ভাব-গুলির অলক্ষ্যে প্রকাশ । অপরের স্বপ্নে এবং চেতন ও অতি-চেতনের সম্পর্ক ও প্রভাবের বিচারে যখন আমার স্বাভাবিকপ্রবেশ নিষেধ, তখন নিজের দু’ট স্বপ্নের ও তাহার ঠিকৃ পরের জাগ্রত মুহূর্বের অভিজ্ঞতার কথাই পাড় যাক । উৎস-ধারার অন্বেষণে বাহির হইতে থাকি । উপম৷ আমি একদিন স্বপ্নে একটী বিছিন্ন ভাবের মধ্যে জড়াইয়া ছিলাম ; যখনই শুইয়া পড়ি, তখনই সে বিছিন্ন ভাবটা আপনাকে যত দূর সম্ভব বিস্তৃত করিয় ভাসে। স্বপ্ন অনেক পরিমাণে নগ্ন ; তাহার ভাব-গুলিও রূপের সীমা অতিক্রম করিয়া চলে। তাই বিছিন্ন ভাবখানিই শুধু কঁাপিতেছিল। সেখানি উৎপ্ল তি। ঘুম ভাঙিতেই ইহার ம் (月 a\g অঙ্গুসন্ধানের মাঝে শেলীর “As the flying fish leap From the Indian deep, And mix with the sea-birds half asleep” বারেবারেই চোখে পড়িল । তাহার পর আমার পুরাণে কবিতা পড়িতেই দেখি, সেই ভাবটী উপমা-হুত্রে অনেক কবিতাতেই গ্রথিত আছে । মাস তিন আগে এমনি আর একটা ভাব স্বপ্নে উঠিত ডুবিত। সেট-নিরুপায় গতি । সেটাও আগে পরে উপমায় বাধা থাকিতে দেখি । সে ভাবটী কালিদাসের একটা শ্লোকের মধ্যে দেখিতে পাইয়া আরও একটু বিস্থিত श्हे ।... "নিপাতয়স্ত্য: পরিত স্তটক্রমান, প্রবৃদ্ধবেগে...................... প্রিয় মুদ্রষ্টাইব জাতবিভ্রমাঃ, প্রয়াস্তি মদ্যশ্বরিতা: পয়োনিধিম্ ॥ উপরের শ্লোকে এবং ইন্দুমতীর স্বয়ম্বর-প্রসঙ্গে কালিদাস বাছাবাছা কতকগুলি শ্লোকে সমীরণোখেব তরঙ্গলেখা পদ্মাস্তরং মানস-রাজহংসীম্‌’, ‘মহীধরং মার্গবশাল্লুপেতং স্রোতোবহ সাগরগামিনীব, সঞ্চারিণী দীপশিখেল,”—ইত্যাদি উপমার মধ্য দিয়া গতি-খানি ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। এই-গুলি অতি-চেতনের প্রকাশ ; ইহাদের উপর চেতন-মনের ইচ্ছাশক্তির প্রভাব আরোপ SBDD BBBB BBB BBB DD DD DBBD DB BB BBS BBBB B BBBB BB BBB BB ভাই সেই গতি বা বেগের মধ্য দিয়াই শুধু তাহার পরম্পরের মধ্যে সংযোগ রাপিয়া যাইতে পারে। (?