এখনও মনে প্রাণে। তবুও ভাবতে ভাল লাগে, নেশা লাগে।
হয়তো এটা আমার দুর্ব্বলতা। আমার বুভুক্ষিত হৃদয়ের আকুতি। কখনো কেউ আমায় ও ভাবে ভালবাসেনি। সুরবালা? সে আছে, এই পর্য্যন্ত। কখনো তাকে দেখে আমার এমন নেশা আসেনি মনে।
নাচের আসর থেকে উঠে চলে এলাম, গোবিন্দ দাঁর প্রতিবাদ সত্ত্বেও। ওরা কি বুঝবে আমার মনের খবর? ওরা স্থূল জিনিস দেখতে অভ্যস্ত, স্থূল জিনিস নিয়ে কারবার করতে অভ্যস্ত। ওদের ভাষা আমি বুঝি না।
ডাক্তারখানায় এসে দেখি, কেউ নাই। কম্পাউণ্ডার গিয়ে বসেছে খেমটার আসরে। চাকরটাও তাই। নিজে আলো জ্বালি, বসে বসে স্টোভ ধরিয়ে একটু চায়ের ব্যবস্থা করি। পুরনো খবরের কাগজ একখানা পড়েছিল টেবিলে, তাই দেখি উলটে পালটে। ওই গোবিন্দ দাঁটা। আবার এসে টানাটানি না করে। ও কি বুঝবে আমার মনের খবর?
মাঝি কোথা থেকে এসে দাঁড়িয়ে বললে—বাবু, চা খাচ্চেন, একটু দেবেন মোরে?
—কিসে করে খাবে? নিয়ে এসো একটা কিছু—
—নারিকোলের মালা একটা আনবো বাবু?
—যা হয় করো।
—বাবু, বাড়ী যাবেন না?