—না! সকালের দিকে খোঁজ করিস। এখন ঘুমিয়ে নি গে যা—
মাঝির সঙ্গে কথা বলে যেন আমি বাস্তব জগতের সংস্পর্শে এলাম। যে জগতে আমি গ্রাম্য ডাক্তারি করে খাই, সেখানে প্রেমও নেই, চাঁদের আলোও নেই, কোকিলের ডাকও নেই। কড়া চা খেয়ে ভাবি একটু ঘুমুবো, মাঝিও চলে গেল, সম্ভবত ঘুমুতে গেল। এমন সময় নেপাল দোর ঠেলে ঘরে ঢুকলো।
বললাম—কি নেপাল, এত রাতে?
—বাবু, আপনি শোবেন তা ভাবলাম এখানে মশারি নেই—আমার বাড়ী যদি—বৌ বলে দিলে—
—তোমার বৌ কোথায়? খেমটার আসরে নাকি?
নেপাল জিভ কেটে বললে—রামোঃ, বড়বৌ কক্ষনো ওসব শুনতে যায় না।
—শুনে বড় সুখী হলাম নেপাল। না যাওয়াই ভালো।
—বাবু, একটা কথা বলি, আবদুল হামিদ আর গোবিন্দ দাঁর সঙ্গে আপনি মিশবেন না। ওরা লোক ভাল না।
—সে আমি জানি।
—বড় বৌও বলছিল—
—কি বলছিলেন?
—বলছিল, ডাক্তারবাবুকে বলে দিও যেন ওদের সঙ্গে না মেশেন। ওরা কুপথে নিয়ে যাবে তাঁকে। কত লোককে যে ওরা খারাপ করেচে আমার চোখের ওপর, তা আর কি বলবো আপনাকে ডাক্তারবাবু। এই বাজারে ছিল হরি পোদ্দারের