—চলুন আমার বাড়ী শোবেন। বড়বৌ বড় খুশি হবে এখন।
—না। আসরে যাই একটু—
নেপালের ওপর মনে মনে বিরক্ত হই। তুমি বা তোমার বড়বৌ আমার গার্জ্জেন নয়। আমিও কচি খোকা নই। বার বার এক কথা বলবার দরকার কি?
একটু পরে আমি আসরে গিয়ে বললাম। সামনেই পান্না। কিন্তু ওর দিকে যেন চাইতে পারচিনে। চোখের কোণ দিয়ে ওকে দেখছি। গোবিন্দ দাঁ, আবদুল হামিদ সবাই বসে। ওদের দলের মাঝখানে বসে আমার লজ্জা করতে লাগলো পান্নার দিকে চাইতে। পান্নাও আমার দিকে চেয়ে প্রথম বার সেই যে একবার মাত্র দেখলে, তারপর সেও আর আমার কাছে এলোও না, আমার দিকে ফিরেও চাইলে না।
অনেকক্ষণ পরে একবার চাইলে, ভীরু কিশোরীর সলজ্জ চোরা চাউনি তার প্রণয়ীর দিকে। এই চাউনি আমায় মাতাল করে দিলে একেবারে, আমার অভিজ্ঞতা ছিল না, ভগবান জানেন সুরবালা ছাড়া অন্য কোনো মেয়ের দিকে কখনো খারাপভাবে চোখ ফেলে চাইনি বা প্রেম করিনি। পাড়াগাঁয়ে ওসব নেইও অতশত। সুযোগ সুবিধার অভাবও বটে, তা ছাড়া আমার মত নীতিবাগীশের এদিকে রুচিও ছিল না। সলজ্জ লুকোনো চাউনির অদ্ভুত মাদকতা সম্বন্ধে কোনো জ্ঞানই আমার থাকবার কথা নয়। আমার হঠাৎ বড় আনন্দ হোল। কেন