—অমন মাল নিয়ে গেলাম আপনার ডাক্তারখানায়—আর আপনি—
—ওসব কথা এখানে কেন?
—তাই বলচি।
গোবিন্দ দাঁ বললে—ছুঁড়িটা কিন্তু চমৎকার দেখতে, যাই বলুন ডাক্তারবাবু। আর কি ঢং কি হাসি মুখের, দেখুন না চেয়ে!
আবদুল হামিদ বললে—ডাক্তারবাবু ওর ওপর কেমন চটা। কই, আপনি তো ওর দিকে ফিরেও চাইচেন না? অথচ দেখুন, আসর শুদ্ধ লোক ওর মুখের দিকে চেয় আছে—
আমি যে কেন ওর দিকে চাইচি না, কি করে বুঝবে ওই সব স্থূলবুদ্ধি লোক। আমি সব দিকে চাইতে পারি, শুধু চাইতে পারি না পান্নার মুখে। পান্নাও পারে না আমার দিকে চাইতে। এ তত্ত্ব বোঝা এদের পক্ষে বড়ই কঠিন।
আবদুল হামিদকে বললাম—বক্বক্ না করে চুপ করে থাকতে পারো না?
গোবিন্দ দাঁ বললে—ডাক্তারবাবু আমাদের সাধুপুরুষ কি না, ও সব ভাল লাগে না ওঁর। ও রসে বঞ্চিত।
আমি উঠেই চলে যেতাম আসর থেকে, শুধু পান্নার চোখের মিনতি আমাকে আটকে রেখেচে ওখানে। ওদের কথাবার্ত্তা আমার ভাল লাগছিল না মোটে।
আবদুল হামিদ আমার সামনে রুমালে বেঁধে দুটাকা প্যালা দিলে—আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে দিলে। আমি পারলাম