আর এক টুকরো নিয়ে আবাদ করেই মশগুল, সমস্ত জিনিসটা ভেবে দেখবার তার সময় নেই।
এমন সময় দোরে মৃদু ঘা পড়লো। আমার বুকের মধ্যে যেন ঢেঁকির পাড় পড়লো সঙ্গে সঙ্গে। আমি বুঝেছি কে এত রাত্রে দরজায় ঘা দিতে পারে।
পান্নার গায়ে একখানা সিল্কের চাদর। খোঁপা এলিয়ে প্রায় কাঁধের ওপর পড়েচে, চোখ দুটোতে উত্তেজনা ও উদ্বেগের দৃষ্টি। সে যেন আশা করেনি আমায় এখন দেখতে পাবে। দেখে যেন আশ্বস্ত হয়েছে। ওর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।
আমি বললাম—কি?
পান্না চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, একবার ঘরের এদিক ওদিক চেয়ে দেখলে, বললে —এলাম আপনার এখানে।
—তা তো দেখতে পাচ্ছি, কি মনে করে।
—দেখতে এসেছি, মাইরি বলছি।
—বেশ। দেখে চলে যাও—
—তাড়িয়ে দিচ্চেন?
—হাঁ।
—আপনি বড় নিষ্ঠুর, সত্যি—
আমি হেসে ফেললাম। বললাম―আমি না তুমি? তুমি জানো এখানে আসা কত অন্যায়?
—তবুও আসি কেন, এই তো?
—ঠিক তাই।
—যদি বলি, না এসে থাকতে পারিনে?