—আমার বিশ্বাস হয় না।
—কি করলে বিশ্বাস হয়? আমি এই দেয়ালে মাথা কুটবো। দেখুন—
পান্না সত্যিই দেয়ালের দিকে এগিয়ে যায় দেখে আমি গিয়ে ওর হাত ধরলাম। সঙ্গে সঙ্গে কি হোল, তীব্র একটা বৈদ্যুতিক স্পর্শে যেন আমার সারা দেহ ঝিমঝিমিয়ে উঠলো। সুরবালাকে ছাড়া আমি কোন মেয়েকে স্পর্শ করিনি তা নয়। আমি ডাক্তার মানুষ, ব্যবসার খাতিরে কতবার কত মেয়ের গায়ে হাত দিয়ে রোগ পরীক্ষা করতে হয়েছে, কিন্তু এমন বৈদ্যুতিক তরঙ্গ সঞ্চালিত হয়নি সারা দেহে।
পান্না ফিক্ করে হেসে বললে—ছুঁলেন যে বড়?
বললাম—কেন ছোঁব না? তুমি মেথর নও তো—
—আপনার চোখে তাদের চেয়েও অধম।
—বেশ, যদি তাই হয়, তবে এলে কেন?
—ওই যে আগে বললাম, আমার মরণ, থাকতে পারিনি।
—কেন গোবিন্দ দাঁ, আবদুল হামিদ?
—আমি ঠিক এবার মাথা কুটবো আপনার পয়ে। আর বলবেন না ও কথা।
পান্না খুব দৃঢ়স্বরে এই কথাগুলি বললে। সঙ্গে সঙ্গে ঘরের এদিক ওদিক চেয়ে দেখলে আবার।
আমি বললাম—কি দেখচো?
—ঘরে কেউ নেই? আপনি একা?
—কেন বল তো?