—ভালো, ভালো। আবার নাম ধরেও ডাকা হোলো! ওমা, কার মুখ দেখে না জানি আজ উঠেছিলুম, রোজ রোজ তার মুখই দেখবো।
—মতলব কি এঁটে এসেচ বল দিকি?
পান্না হাসিমুখে ঘাড় একদিকে ঈষৎ হেলিয়ে আমার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে চেয়ে বললে—ভয়ে বলবো, না নির্ভয়ে বলবো?
—নির্ভয়ে বলো।
—ঠিক?
—ঠিক।
—আমার সঙ্গে কলকাতায় চলুন। আজই, এখুনি—
কথা শেষ করে ছুটে এসে আমার পায়ের কাছে পড়ে ফুলের মত মুখ উঁচু করে আমার মুখের দিকে চেয়ে বললে—চলুন।
ওর চোখে মিনতি ও করুণ আবেদন।
অপূর্ব্ব রূপে পান্না যেন ঝলমল করে উঠলো সেই অপ্রত্যাশিত মুহূর্ত্তে। পান্না যেন সুন্দরী মৎস্যনারী, অনেকদূরের অথৈজলে টানচে আমাকে ওর কুহক দৃষ্টি।
সেই ভোর রাত্রেই পান্নার সঙ্গে আমি কলকাতা রওনা হই।
পান্না ও আমি একা এক গাড়ীতে!
ওর সে সহচরী কোথায় গেল তা আমি দেখিনি। তাকে ও তত গ্রাহ্য করে বলে মনেও হোল না। তার বয়স বেশি, তাকে কেউ সুনজরে বড় একটা দেখে না।