—যেখানে খুশি। যেখানে কেউ থাকবে না, তুমি আর আমি শুধু থাকবো। যেখানে হয়, যত দূরে—
—হুঁ-উ-উ-উ—
—ঠিক?
—ঠিক।
বলেই ও আবার আগের মত হাসি হাসলে।
ওর ওই হাসিই আমাকে এমন চঞ্চল, এমন ছন্নছাড়া করে তুলেছে। নিরীহ গ্রাম্যডাক্তার থেকে আমি দুঃসাহসী হয়ে উঠেচি—ওই হাসির মাদকতায়। বললাম—সব ভাসিয়ে দিতে রাজী আছ আমার সঙ্গে বেরিয়ে?
—সব ভাসিয়ে দিতে রাজী আছি আপনার সঙ্গে—
বলেই ও খিল্ খিল্ করে হেসে উঠলো।
গাড়ীতে এই সময়টায় কেউ নেই। আমি ওর হাত দুটো নিজের হাতে নিয়ে বললাম—তাহোলে কলকাতায় কেন?
—না। আপনি যেখানে বলেন—
—ভেবে দ্যাখো। সব ছাড়তে হবে কিন্তু। খেমটা নাচতে পারবে না। টাকাকড়ি রোজগার করতে পারবে না।
পান্না যদি তখন বলতো, ‘খাবো কি’—তবে আমার নেশা কেটে যেতো, শূন্য থেকে আছাড় খেয়ে মাটিতে পড়ে যেতাম তখুনি। কিন্তু পান্নার মুখ দিয়ে সে কথা বেরুলো না। সে ঘাড় দুলিয়ে বললে—এবং বললে অতি অদ্ভুত কথা, অদ্ভুত দুরে। বললে—তুমি আর আমি একা থাকবো। যেখানে নিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়—মুজরা করতে দাও করবো, না করতে দাও, তুমি যা করতে বলবে করবো—