ওরা উত্তর দিলে—বাঁশদ’ মানিকপুর—
—কি জাত?
—কর্ম্মকার—
—বুড়ো না জোয়ান?
ধমকের সুরে বললাম—অত খবরে তোমার কি দরকার হে? চুপ করে বোসো। ধরাও একটা সিগারেট, এই নাও।
সনাতন বললে—একটা কথা আছে। আমাদের গ্রামের তুমিই এখন মাথা। তোমাকে বলতেই হবে। রামপ্রসাদ চাটুয্যে আমাদের গ্রামের লালমোহন চক্কত্তির মেয়েটার কাছে যাতায়াত করচে অনেকদিন থেকে। এ খবর রাখো?
আমি আশ্চর্য্য হয়ে বললাম—সে কি কথা? শান্তিকে তো খুব ভালো মেয়ে বলেই জানি।
—তুমি ও খবর কি রাখবে? নিজের রুগী নিয়েই ব্যস্ত থাকো। দেবতুল্য মানুষ। এ কথা তোমাকে বলবো বলেই আজ নৌকাতে উঠেচি। এর একটা বিহিত করো।
—তুমি প্রমাণ দিতে পারো?
—চক্কত্তি পাড়ার সব লোক বলবে কাল তোমার কাছে। কালই সব ডাকাও।
—নিশ্চয়ই। এ যদি সত্যি হয় তবে এর প্রায় আমি দিতে পারি নে গাঁয়ে। আমায় তো জানো—
—জানি বলেই তোমার কানে তুললাম কথাটা—এখন যা হয় করো তুমি।