পরে বাঁকা ভুরুর নিচে আড় চাউনি দিয়ে আমার দিকে চেয়ে বললো—আমি তোমার, যেখানে নিয়ে যাবে—
সে চাউনি আমাকে কাণ্ডজ্ঞান ভুলিয়ে দিলে, আমি এঁটো হাতেই ওর পুষ্পপেলব হাতখানা চেপে ধরতে গেলাম, আর ঠিক সেই সময়েই সেই বুড়ি সেখানে এসে পড়লো! আমার দিকে কটমট চোখে চেয়ে দেখলে, কিছু বললে না মুখে। কি জানি কি বুঝলে।
আমি লজ্জিত ও অপ্রতিভ হয়ে ভাতের থালার দিকে চাইলাম। কোনো রকমে দু’চার দলা খেয়ে উঠে পড়ি তখুনি!
কাউকে কিছু না বলে সেই যে বেরিয়ে পড়লাম, একেবারে সোজা শেয়ালদা’ স্টেশনে এসে গাড়ী চেপে বসে দেশে রওনা।
সুরবালা আমায় দেখে অবাক হয়ে আমার দিকে চাইলে। তারপর বললে—কোথায় ছিলে?
—কলকাতায় গিয়েছিলাম, সেখান থেকে আসচি।
—তা আমিও ভেবেছি। সবাই তো ভেবে চিন্তে অস্থির, আমি ভাবলাম ঠিক কোনো দরকারি কাজ পড়েছে, কলকাতায় টলকাতায় হঠাং যেতে হয়েছে। একটা খবর দিয়েও তো যেতে হয়! এমন তো কখনো করো নি?
—এমন অবস্থাও তো এর আগে কক্ষনো হয়নি। সবাই ভাল আছে?
—তা আছে। নাও, তুমি গা হাত পা ধুয়ে নাও, চা করে নিয়ে আসি। খাওয়া হয়েচে?
একটু পরে সুরবালা চা করে নিয়ে এল। বললে—বাবাঃ