খুলতেই চাকরটা এসে জুটলো। বললে—বাবু, পরশু এলেন না? আপনি গিয়েলেন কনে?
—কেন?
—আপনার সেই মাঝি নৌকো নিয়ে ফিরে গেল।
—তোর সে খোঁজে কি দরকার? যা নিজের কাজ দেখগে—
একটু পরে গোবিন্দ দাঁ এল কার মুখে খবর পেয়ে। ব্যস্তভাবে বললে—ডাক্তার, ব্যাপার কি? কোথায় ছিলেন?
—কেন?
—সেদিন গেলেন কোথায়? মাঝি আমাকে জিজ্ঞেস করলে। শেষে নৌকো নিয়ে গেল। এখন আসা হচ্ছে কোথা থেকে?
—বাড়ি থেকেই আসচি। সেদিন একটু বিশেষ দরকারে অন্যত্র গিয়েছিলাম।
—তবুও ভাল। আমরা তো ভেবে চিন্তে অস্থির।
গোবিন্দ দাঁ সন্দেহ করেনি। হাঁপ ছেড়ে বাঁচা গেল! গোবিন্দই সব চেয়ে ধুর্ত্ত ব্যক্তি, সন্দেহ যদি করতে পারে, তবে ওই করতে পারতো। ও যখন সন্দেহ করেনি, তখন আর কারো কাছ থেকে কোনো ভয় নেই। আমি ভয়ানক কাজে ব্যস্ত আছি দেখাবার জন্যে আলমারি খুলে এ শিশি ও শিশি নাড়তে লাগলাম। গোবিন্দ দাঁ একটু পরে চলে গেল।
ও যেমন চলে গেল আমি একা বসে রইলুম ডিস্পেসারি ঘরে। অমনি মনে হোল পান্না ঠিক ওই দোরটি ধরে যেদিন দাঁড়িয়েছিল। আমার মনে হোল একা এখানে এসে আমি