এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অথৈজল
১৩৮
পান্না বললে—দেশে গিয়েছিলে?
—হাঁ।
—তবে এলে যে আবার?
—তোমায় দেখতে।
—সত্যি বলো না?
—বিশ্বাস কর। আজ মঙ্গলগঞ্জ থেকে সোজা তোমার এখানে আসচি।
—কেন? বলো, বলতেই হবে।
—বলবো না।
—বলতেই হবে, লক্ষ্মীটি।
—তোমার জন্যে মন কেমন করে উঠলো। তুমি সেদিন দোর ধরে দাঁড়িয়েছিলে, সে জায়গাটা দেখেই মন বড় অস্থির হোল, তাই ছুটে এলাম।
—খুব ভাল করেচ। জানো? আমি মরে যাচ্ছিলাম তোমার সাথে দেখা করবার জন্যে। তুমি যে দিনটি চলে গেলে, সেদিন থেকে—
—কেন মিথ্যে কথাগুলো বলে? ছিঃ।
পান্না খাড়া হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে ঘাড় বেঁকিয়ে বললে—কি? আমি তোমার পায়ে মাথা কুটে মরবো দেখো তবে—আমি মিথ্যে কথা বলচি?
আমি সুখের সমুদ্রে ডুবে গেলাম। কি আনন্দ। সে আনন্দের কথা মুখে বলে বুঝানো যাবে না। এই সুন্দরী লাবণ্যময়ী চঞ্চলা ষোড়শী আমার মত মধ্যবয়স্ক লোককে