পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভালবাসে ! এ আমার কত বড় গর্ব, আনন্দের কথা, ইচ্ছে হয় এখুনি ছুটে বাহিরে চলে গিয়ে দু’পারের দুই পথের প্রত্যেক লোককে ধরে ধরে চীৎকার করে বলি-ওগো শোনে-পাল্প আমাকে ভালবাসে, আমার জন্যে সে ভাবে !!--ভালবাসা । জীবনে কখনো আস্বাদও করিনি। জানিনে, ও জিনিসের রূপ কি। এবার যেন ভালবাসা কাকে বলে বুঝেচি। ভালবাসা পেতে হয় এরকম সুন্দরী ষোড়শীর কাছ থেকে, যার মুখের হাসিতে, চােখের কোণের বিদ্যুৎ কটাক্ষে ত্রিভুবন জয় হয়ে যায় । কেন আমি আজ তেরো বছর হলো বিয়ে করেছি। সুরবালা কখনো ষোড়শী ছিল না ? সে আমাকে ভালবাসে না ? মেয়েদের ভালবাসা কখনো কি পাইনি ? সে কথার জবাব কি দেবো। আমি নিজেই খুজে পাই না। কে বলে সুরবালা আমায় ভালবাসে না ? কিন্তু সে এ জিনিস নয়। তাতে নেশা লাগে না মনে । সে জিনিসটা বডড শাস্ত, স্থির, সংযত, তার মধ্যে নতুন আশা করবাব কিছু নেই—নতুন করে । দেখবার কিছু নেই-ও কি বলবে আমি তা জানি, রিলতেই তাকে হবে, সে আমার বাড়ি থাকে, খায়, পরে। ভালো 向會唸 কথা তাকে বলতে হবে। তার মিষ্টি কথা আমার দেহে মনে অপ্রত্যাশিতের পুলক জাগায় না। সুরবালা কোনোকালেই এরকম সজীব, প্রাণচঞ্চল সুন্দরী, ষোড়শী কিশোরী ছিল নাতার চােখে বিদ্যুৎ ছিল না। পাজার হাত ধরে বসিয়ে দিয়ে বললাম-বোসে, ছেলেबांबी ८:कांदबा ना ተኛ