—তোমার দোকন টোকান আছে নাকি?
—হাঁ, ওষুধের দোকান—
—ওষুধ কিনতে এসেছ তা এখানে কেন?
—পান্নার সঙ্গে দেখা করতে।
—কোথায় গেল সে ছুঁড়ি? দেখা হয়েচে?
—হ্যাঁ।
—তোমরা সবাই মিলে ও ছুঁড়ির পেছনে পেছনে অমন ঘুরচো কেন বলো তো? তোমাদের পাড়াগাঁ অঞ্চলে মেয়েকে পাঠালেই এই কাণ্ড গা? জ্বলে পুড়ে মনু বাপু তোমাদের জ্বালায়। আবার তুমি এসে জুটলে কি আক্কেলে?
আমি এ কথার কি জবাব দেবো ভাবছি, এমন সময় বুড়ি বললে—তোমাকে সেবার ভাল কথা বন্নু বাছা তা তোমার কানে গেল না। তুমি বাপু কি রকম ভদ্দর নোক? বয়েস দেখে মনে হয় নিতান্ত তুমি কচি খোকাটি তো নও—এখানে এলেই পয়সা খরচ করতে হয় বলি জানো সে কথা? বলি এনেচ কত টাকা সঙ্গে করে? ফতুর হয়ে যাবে বলে দিচ্চি। সহুরে বাবুদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে টাকা খরচ করতে গিয়ে একেবারে ফতুর হয়ে যাবে, এখনো ভালোয় ভালোয় বাড়ি চলে যাও—
—যাবোই তো। থাকতে আসিনি।
—সে কথা ভালো। তবে এত ঘন ঘন এখানে নাই বা এলে বাপু? ও ছুঁড়িকেও তো বাইরে যেতে হবে, তোমার সঙ্গে জোড় পায়রা হয়ে বসে থাকলে তো ওর চলবে না।