পান্না খিলখিল করে হেসে উঠে বললে—কোথায়? নদীর ওপারে?
তারপর অপুর্ব্ব ভঙ্গিতে ঘাড় দুলিয়ে দুলিয়ে বলতে লাগলো—বলি? উত্তরপাড়া? কোন্নগর? হুগলী?
—না।
—তবে?
—আমি যেখানে ভাল বুঝবো। যাবে?
— নিশ্চয়ই।
—এখুনি?
—এখুনি।
পান্নাকে আমি খুব ভালভাবে চিনিনে বটে কিন্তু আমি মানুষ চিনি। ওর চোখের দিকে চেয়ে বুঝলাম পান্না, মিথ্যে কথা বলচে না। ও আমার সঙ্গে যেতে রাজি আছে, যেখানে ওকে নিয়ে যাবো। শুধু এইটুকু জানা বোধ হয় আমার দরকার ছিল। যেই বুঝলাম ও আমার সঙ্গে যতদূর নিয়ে যাবো যেতে পারে, তখন আমি একটা অদ্ভুত আনন্দ মনের মধ্যে অনুভব করলাম। সে আনন্দ একটা নেশার মত আমাকে পেয়ে বসলো। সে নেশা আমাকে ঘরে থাকতে দিলে না—সোজা এসে বড় রাস্তার ওপর পড়লাম। সেখানে থেকে ট্রামে গড়ের মাঠে এসে একটা গাছের তলায় বেঞ্চিতে নির্জ্জনে বসলাম।
হাতে কত টাকা আছে? কুড়ি পঁচিশের বেশী নয়। এই টাকা নিয়ে কতদূর যেতে পারি দু’জনে? কাশী হয় তো!