এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অথৈজল
১৪৬
বললাম—অমনি একটা নিরিবিলি গ্রামের ঠিকানা আমায় দিতে পারিস?
—কেন রে?
—আমি প্র্যাক্টিস করবো তোর মত।
—কেন তুই তো গ্রামেই বসেছিলি—তাই না? চাকরি নিয়েচিস নাকি?
—জায়গাটা বদলাবো।
—বদলাবি বটে কিন্তু একটা কথা বলি। ডায়মগুহারবার অঞ্চলে ম্যালেরিয়া নেই গ্রামে—বেশি পয়সা হবে না।
—যা হয়।
—আমি দেখবো খোঁজ করে। তোর ঠিকানাটা দে আমাকে।
—তোর ঠিকানাটা দে, আমি বরং তোকে আগে চিঠি দেবো।
করালী বিদায় নিয়ে চলে গেল।
আমি পান্নার বাড়িতেই চললাম সোজা। ওর ঘরের বাইরে একটা কাঠের বেঞ্চি আছে, বেঞ্চিটার ঠিক ওপরেই দেয়ালে একটা পুরানো সস্তা খেলো ক্লকঘড়ি। ঘরের মধ্যে ঢোকবার সাহস আমার কুলালো না, ঘড়ির নিচে বেঞ্চিখানাতে বসে পড়লাম।
অনেকক্ষণ পরে পান্নাই প্রথম এল ওদিকের একটা ঘর থেকে।
আমায় দেখে অবাক হয়ে বললে—এ কি!
বললাম—চুপ, চুপ।