কলকাতা সহর জনসমুদ্র বিশেষ, এখানে লুকিয়ে থাকলে কার সাধ্য খুঁজে বার করে? কে কাকে চেনে এখানে? অজ্ঞাত বাস করতে হোলে এমন স্থান আর নেই।
বাসা ঠিক হয়ে গেল লেবুতলা এক ক্ষুদ্র গলির মধ্যে বাসা আপাততঃ থাকবার জন্যে, ডাক্তারি এখান থেকে চলবে না, বড় রাস্তার ধারে তার জন্যে ঘর নিতে হবে বা একটু ঠাণ্ডা হয়ে বসে কোনো একটা ডিস্পেনসারিতে বসবার চেষ্টা করতে হবে। বাড়িটা ভালো, ছোট হোলেও অন্য কোনো ভাড়াটে নেই, এই একটা মস্ত সুবিধে। এই রকম বাড়িই আমি চেয়েছিলাম। ওপরে দুটি ঘর, দুটিই বেডরুম হিসেবে ব্যবহার করা যায়, আলো হাওয়া মন্দ নয়।
বাড়িওয়ালা একজন স্বর্ণকার, এই বাড়ি থেকে কিছুদূরে কেরাণীবাগান লেনের মোড়ে তার সোনারূপার দোকান।
বাড়ি আমার দেখা হয়ে গেলে সে আমায় জিজ্ঞেস করলে আমি কবে আসবো। আমি জানালুম আজই আসচি। চাবিটা কোথায় পাওয়া যাবে? সে ওর সোনারূপোর দোকান থেকে চাবিটা নিয়ে আসতে বললে।
এই বাড়িতে পান্না আর আমি নিভৃতে দু’জন থাকবো? পান্নাকে এত নিকটে, এত নির্জ্জনে পাবো? ওকে নিয়ে এক বাসায় থাকতে পাবো? এত সৌভাগ্য কি বিশ্বাস করা যায়?
আনন্দে কিসের একটা ঢেউ আমার গলা পর্য্যন্ত উঠে আসতে লাগলো। আজই দিনের কোনো এক সময়ে পান্না