—তুমি দেবে এইতো? কিন্তু আমি কত টাকা রোজগার করি তুমি জানো? দেখেছিলে তো মঙ্গলগঞ্জে?
—কত?
—ছ’টাকা করে ফি রাত। নীলি নিতো সাত টাকা।
—মাসে ক’বার নাচের বায়না পাও?
—ঠিক নেই। সব মাসে সমান হয় না। পাঁচ ছ’টা তো খুব। দশটাও হোত কোনো মাসে।
—তার মানে মাসে গড়ে ত্রিশ বত্রিশ টাকা, এই তো?
—তার বেশি। প্রায় চল্লিশ টাকা।
আমি মনে মনে হাসলাম। পান্না জানে না ডাক্তারিতে একটা রুগী দেখলে অনেক সময় পাড়াগাঁয়ে ওর বেশিও পাওয়া যায়! আমায় ভাবতে দেখে পান্না বললে—ধরো যদি নাচের বায়না না নিতে দাও তবে কলকাতার সংসার চালাবে কি করে? তোমরা পাড়াগাঁয়ের লোক, কলকাতার খরচ কি জানো? ষাট টাকার কমে মাস যাবে না। তুমি একা পারবে চালাতে?
আমার হাসি পেল। আমি বললাম—আমায় একটা কিছু বাজাতে শেখাবে?
—কি?
—এই ধরো বাঁশি কি ডুগি তবলা।
—কেন?
—গানের দলে তোমার সঙ্গে বেরুতাম। দুজনে রোজগার হোত।