করলাম। একটা বড় খোলার বস্তির একটা ঘরে নীলিমা ও তার বড় দিদি সুশীলা থাকে। আমাকে দেখে এতটুকু চিনতে পারেনি নীলিমা। আমি সংক্ষেপে আমার পরিচয় দেওয়ার পরে সুশীলা এসে আমায় নিয়ে গেল ওদের ঘরের মধ্যে। দু’টো বড় বড় তক্তপোষ একসঙ্গে পাতা, মোটা তোষক পাতা বিছানা, কম দামের একটা ক্লকঘড়ি আছে ঘরের দেওয়ালে এবং যেটা সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয়, খানকতক ঠাকুর দেবতার ছবি। সুশীলার বয়েস পঁচিশ ছাব্বিশ হবে, মুখে বসন্তের দাগ না থাকলে ওর মুখ দেখতে একসময় মন্দ ছিল না বোঝা যায়।
সুশীলা থাকাতে আমার বড় অসুবিধে হোল। সুশীলার অস্তিত্বের বিষয় আমি অবগত ছিলাম না, এর সামনে সব কথা বলা উচিত হবে না হয়তো। নীলিমাকে নির্জ্জনে কোনো কিছু বলবার অবকাশও তো নেই দেখছি। মুস্কিলে পড়ে গেলাম। সুশীলা ভেবেছে আমি হয়তো এদের জন্যে কোনো একটা বড় মুজরোর বায়না করতে এসেছি। ও খুব খাতির করে আমার সঙ্গে কথা বলতে লাগলো। বললে—চা খাবেন তো!
—তা মন্দ নয়!
—বসুন, করে নিয়ে আসি। নীলি, বাবুকে বাতাস কর।
—না না, বাতাস করতে হবে না। বোসো এখানে।
সুশীলা ঘর থেকে চলে গেলেই আমি সংক্ষেপে নীলিমাকে সব কথা বললাম। আমাদের ঠিকানাও দিলাম। নীলিমা অবাক