—না তোমায় যেতে হবে না। বাবু আমায় পৌঁছে গিয়ে যাবেন।
—আজ রাতেই দিয়ে যাবো। ন’টার মধ্যেই।
—সেজন্যে কিছু নয় বাবু, সে আপনি নিয়ে যান না। তবে দু’টো টাকা দিয়ে যাবেন। খরচপত্তর আছে তো? ও গেলে চলে না।
—সে আমি ওর হাতেই দেবো এখন।
—না বাবু, টাকাটা এখুনি আপনি দিয়ে যান।
সুশীলার হাতে আমি টাকাদু’টো দিতে ও খুব অমায়িক ভাবে হাসলে। এরা গরীব, এদের অবস্থা দেখেই বুঝলাম। পান্নারা এদের কাছে বড়লোক। নীলিমা আমাকে বললেও সে কথা রাস্তায় যেতে যেতে। পান্না না হোলে ওদের মুজরোর বায়না হয় না। এর প্রধান কারণ পান্না দেখতে অনেক সুশ্রী এর চেয়ে।
বাসায় ফিরে এলুম। নীলিমাকে দেখে পান্না খুব খুসি, আমায় বললে চা খাবার কিছু নিয়ে এসো। শীগ্গির যাও—ওকে পান্না কি বলেচে জানিনে, চা খাবার নিয়ে ফিরে এসে দেখি নীলি কৌতূহলের সঙ্গে বার বার আমার দিকে চাইচে। আমায় বললে—এই অবস্থায় ওকে নিয়ে এসে রেখে দিয়েচেন?
—কেন?
—এ অবস্থায় মানুষ থাকে?
—পান্না তোমাকে বলছিল কিছু?