বললাম বিশেষ কিছু বলবার আছে তোমার?
—শশাঙ্কদা, তুমি আমায় বাঁচাবে?
—হ্যাঁ হ্যাঁ—হবে, হবে। কোনো ভয় নেই।
পরক্ষণেই শান্তি এক অদ্ভুত ধরনে আমার মুখের দিকে চেয়ে বলে—সত্যি শশাঙ্কদা? আমি—আমাকে—
আমি এতক্ষণে বুঝতে পারিনি ও কি বলতে চাইছে, এইবার ওর কথার সুরে ও মুখের ভাবে বুঝে নিয়ে অবাক হয়ে ওর মুখের দিকে চাইলাম। আমি ডাক্তার, ও সাহায্য চাইচে আমার কাছে, কিন্তু এ সাহায্য আমার দ্বারা হবে ও ভাবলে কেমন করে? আশ্চর্য্য!
শান্তি মুখ নীচু করে ধরে পায়ের আঙ্গুল দিয়ে মাটি খুঁড়তে লাগলো।
অবশেষে আমার মুখে কথা ফুটলো। আমি বললাম—তুমি এতদূর নেমে গিয়েচ শান্তি? তুমি না লালমোহন কাকার মেয়ে? কত ভাল লোক ছিলেন কাকা, কত ধার্ম্মিক ছিলেন—এ সব কথা মনে পড়ে না তোমার?
শান্তি আবার কাঁদিতে শুরু করলে।
নাঃ, এ সব ছলনাময়ী ঘ্যানঘেনে প্যানপ্যানে মেয়ের প্রতি আমার কোনো সহানুভূতি জাগে না। পুনরায় কড়া সুরে বললাম—আমার দ্বারা তোমার কোনো সাহায্য হবে এ তোমার আশা করাই অন্যায়। জানো, এ সবের প্রশ্রয় আমি দিইনে?