ফুটে উঠলো। চোখ টিপে বললেন—তাতে তোমার ক্ষতিটা কি? চাকরি হয়েই গেল। কাকে দিয়ে বলাতে হবে বলো না? নিজে একটু চেষ্টা করে দ্যাখো। যাও বুঝলে? না যদি সহজ হয় তবে—
এই পর্য্যন্ত বলে জোয়ারদ্দার মশায় চুপ করলেন। একটা হিংস্র পশুভাব সে মুখে। আমার মন বললে এ সাপকে নিয়ে আর বেশি খেলিও না, ছোবল বসাবে। পান্নাকে সাবধান করে দিলাম সব কথা খুলে বলে। সে হেসে বললে—ও রকম বিপদে অনেক জায়গায় আমাদের পড়তে হয়েছে। তুমি সঙ্গে রয়েচ ভয় কি? নীলি দিদিকে বলে দেখচি, ও যায় যাক। যেতে পারে ও অমন গিয়ে থাকে জানি।
নায়েবকে এসে বললাম। তখনও আসর ভাঙ্গেনি।
তিনি বসে আছেন ছোট্ট কোণের ঘরটাতে। মুখে সেই অধীর লালসার ছাপ। অশান্ত আগ্রহের সুরে জিজ্ঞেস করলেন—কি হলো? এসো ইদিকে।
—সে হোল না।
—কি রকম?
—আপনাকে অন্য মেয়েটি জোগাড় করে দিচ্চি। নাম নীলি, ও আসবে এখন।
—ওসব হবে না। ওকে আমার দরকার নেই। পান্নাকে চাই। দশ টাকার জায়গায় বিশ টাকা দেবো। বলে দিয়ে এসো। না যদি দুষ্পাঠ্য