—আমার তবে কি উপায় হবে শশাঙ্কদা?
—আমি বলতে পারিনে। আমি চললাম, তোমার সঙ্গে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলবার সময় নেই আমার।
বাড়ী এসে সুরবালাকে সব বললাম। সুয়বালা বললে—ওই পোড়ারমুখীই নষ্টের গোড়া। রামপ্রসাদ ঠাকুরপোর কোনো দোষ নেই।
—তোমার এ কথা আমি মানলাম না।
—মেয়ে মানুষের ব্যাপার তুমি কি জানো? তুমি শান্তির কান্নাতে গলে গিয়েচ, ভাবচো ও বুঝি নিরীহ, আসলে তা নয়, এই তোমাকে বললাম।
—তোমার যুক্তি আমি বুঝতে পারলাম না।
—পারবেও না। ডাক্তারিই পড়েচ, আর কিছুই জান। সংসারের।
রামপ্রসাদের উপর অত্যন্ত রাগ হোল। আমাদের গ্রামে মধ্যে এমন সব কাজ যে করতে সাহস করে, তাকে ভালোভাবে শিক্ষা দিতে হবে।
দারোগাকে একখানা চিঠি লিখে পাঠালুম। লিখলে—একদিন আপনাদের ওখানে গিয়ে লোকটাকে এমন জব্দ করে দেবো যে, সে এ মুখে আর দুষ্পাঠ্য না।
রামপ্রসাদ চাটুয্যে লোকটি মদ খায় বলে কোনোদিনই ছিল না। কতদিন তাকে দুষ্পাঠ্য লিভারের অসুখ হয়ে মরবে। মদ এখনও ছাড়ে