কিছুই মনে নেই। সুরবালা টুরবালা কোথায় তলিয়ে গিয়েছে। বাজার করে একটা ছোট পার্কের বেঞ্চির ওপর বসে বসে এই সব ভাবি। এই বেঞ্চিটা আমার প্রিয় ও পরিচিত, অনেকবার ওর কথা ভেবেচি এটাতে বসে।
বাসায় ঢুকতে পান্না বললে—ওগো আর একবার যেতে হবে বাজারে—
—কেন?
—দইওয়ালী এসেছিল, তোমার জন্যে দই কিনে রেখেচি। পাকা কলা নিয়ে এসো। খাবে—
অবার পাকা কলা কিনতে বেরুই। এতেও সুখ। আমি কত স্বচ্ছল অবস্থায় মানুষ, পান্না তার ধারণাও করতে পারবে না। সব ছেড়ে ওর কাছ থেকে টাকা নিয়ে দু’ এক টাকার বাজার করচি, পায়ে জুতো ছিঁড়ে আসচে, গায়ে মলিন জামা—যে আমি দিনে তিনবার ধুতি পাঞ্জাবী বদলাতুম, তার এই দশা। কিছু না। সংসার অনিত্য। প্রেমই বস্তু। তা এতদিনে পেয়েছি। বস্তুলাভ ঘটেচে এতকাল পরে। আর কিছু চাই না।
দুপুর বেলা পান্না রেঁধে বললে—খাবে কিসে?
—কেন শালপাতায়?
—দোহাই তোমার, তোমার জন্যে অন্ততঃ একখানা থালা কিনে আনো।
—কিছু পয়সা দাও দেখি?
—কত?