—অন্ততঃ দশটা টাকা। দুখানা থালা কিনে আনি।
এখন? আমার হাতে এঁটো। বাক্সে আছে। চাবি নিয়ে বাক্স খুলতে পারবে?
আমি হেসে বললাম—না পান্না। আমি নিজেই আনছি কিনে। আমার কাছে আছে।
ওর ধরণ আমার খুব ভাল লাগলো। ও পয়সা দিতে চাইলে, কোনো প্রতিবাদ করলে না। ওর তো খরচ করার কথা নয়, খরচ করার কথা আমার। অথচ ও অকাতরে বাক্স খুলে পয়সা বার করে দিলে কেন? পান্না। অন্য ধরণের মেয়ে, ওকে যতই দেখছি, ওকে অন্য জাতের মেয়ে বলে মনে হচ্চে। ওদের শ্রেণীর অন্য মেয়ের মত নয় ও।
আমি দু’খানা এনামেলের থালা কিনে আনলাম। হাতে বেশি পয়সা নেই। পান্না দেখে হেসেই খুশি। আমি শেষে কিনা এনামেলের থালা কিনে আনলাম? কখনো এ থালায় খেয়েছি আমি?
—খাই নি?
—হি-হি-হি—
—অত হাসি কিসের?
—জব্দ গো জব্দ। বড্ড জব্দ হয়েচ এবার।
—কিসের জব্দ?
—পয়সা ফুরিয়েছে তো হাতে? এবার নীলিকে খবর দাও। দু’জনে মুজরো করে আনি। না হোলে খাবে কি লবডঙ্কা?