ষোড়শী সুন্দরী কিশোরী আমাকে অমন ভালবাসব, এ আমার পক্ষে বিশ্বাস করা শক্ত। সত্যি কি পান্না আমাকে ভালবেসে ফেলেচে? না, বিশ্বাস করা শক্ত, বড় শক্ত। একবার বিশ্বাস হয়, একবার হয় না।
পার্কের বেঞ্চিটার ও-কোণে একটা চানাচুর ভাজাওয়ালা এসে বসলো। আমায় বললে—বাবু, দেশলাই আছে? আমি তাকে দেশলাই দিলাম। চলে যা না কেন বাপু, তা নয় সে আবার আমার সঙ্গে খোসগল্পে প্রবৃত্ত হয়, এমন ভাব করে তুললে। আমায় কি এখন ওই সব বাজে কথা ভাল লাগচে?
আবার নির্জ্জন হোল পার্কের কোণ। আবার আমি বসে ভাবি।
পান্না আমাকে ভালবাসে, ভালবাসে, ভালবাসে।······
কি একটা অদ্ভুত শিহরণ ও উত্তেজনা আমার সর্ব্বদেহে। চুপ করে বসে শুধু ওই কথাটাই ভাবি। শুধু ভেরেই আনন্দ। এত আনন্দ যে আছে চিন্তার মধ্যে, এত পুলক, এত শিহরণ, এত নেশা, এ কথাই কি আগে জানতাম? যেন ভাঙ খাওয়ার নেশার মত রঙীন নেশাতে মশগুল হয়ে বসে আছি। জীবনে এরকম নেশা আসে চিন্তা থেকে তাই বা কি আগে জানতাম?
সুরবালার সঙ্গে এতদিনের ঘরকন্না আমার ব্যর্থ হয়ে গিয়েচে।
ভালবাসা কি জিনিস, ও আমাকে শেখায় নি।