—ডাক্তারি।
—সত্যি? কি ডাক্তারি?
—এম্ বি পাশ ডাক্তার।
ঝাড়ু মল্লিক সম্ভ্রমের মুখে বলে উঠলো—বসো, ভালো হয়ে বসো। নাম জিজ্ঞ্যেস করতে পারি? না থাক, বলতে হবে না। এখানে কতদিন?
—তা মাস ছ' সাত হয়ে গেল।
—বড় কষ্ট পাবে। আমিই বা তোমাকে কি উপদেশ দিচ্চি? আমি নিজে কি কম ভোগা ভুগেচি? এখনো চোখের নেশা কাটেনি। মেয়েটির নাম কি?
—পান্না।
—বেশ দেখতে। খুব ভালো দেখতে। আমি ওকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েচি। অমন মেয়ে এ রকম থেমটার আসরে বড় একটা দেখা যায় না। আচ্ছা আমি তোমাকে কিছু বলবো না আর ও নিয়ে। তুমি এখন ছাড়তে পারবে না তাও জানি। ও বড় কঠিন নেশা, নাগপাশ রে দাদা। বিষম হাবুডুবু খেয়েছি ও নিয়ে। নইলে আজ ঝড়ু মল্লিক সোনার ইঁট দিয়ে কোটা গাঁথতে পারতো। এ কি রকম মেয়ে? পয়সাখোর?
—না, তার উল্টো। বরং রোজগার করে ও, আমি বসে বসে খাই। পয়সাখোর মেয়ে ও নয়।
মোটামুটি ঝড়ু মল্লিককে সব কথা বললাম। লোকটাকে আমার ভাল লেগেছিল, লোকটা করি, এতেই আমি