—চা খেয়েচেন সকালে? আসুন দয়া করে আমার আস্তানায়।
—চলুন যাচ্চি।
লোকটা আমার জন্য খাবার আনিয়েচে বাজার থেকে। খুব খাতির করে বসালে। লোকটাকে আমারও বড় ভাল লেগেছে, এমন দিলদরিয়া ধরণের লোক হঠাৎ বড় দেখা যায় না। সবিনয়ে আমার অনুমতি প্রার্থনা করে (যদিও তার কোনো প্রয়োজন ছিল না) একটু মদও সে নিজের চায়ের সঙ্গে মিলিয়ে নিলে। এক চুমুকে চা-টুকু খেয়ে নিয়ে আমায় বললে—চলবে?
—না। আপনি খান—
—তুমি ভাই নতুন ধরণের মানুষ। আমরা ভাবওয়ালা কিনা, ধরতে পারি। তোমায় নিয়ে ভাব লিখবো কিনা, একটু দেখে নিচ্চি। তুমি বড় ডাক্তার ছিলে, আজ ভাবের জন্যে সারেঙ্গীওয়ালা সেজেচ—
—তা বলতে পারেন—
—আর একটা কথা জিজ্ঞ্যেস করি। কিছু মনে কোরো না। মা লক্ষ্মী বর্ত্তমান?
—হুঁ।
—কোথায়?
—দেশের বাড়িতে আছেন।
ঝড়ু একটু চুপ করে থেকে বললে—তাই তো। ও কাজটা যে আমার তেমন ভালো লাগচে না। মা লক্ষ্মীকে যে কষ্ট দেওয়া হচ্চে। এটা ভেবে দ্যাখোনি বোধ হয় ভায়া। নতুন