দেখতাম দুনিয়াকে। আকাশ এ আকাশ নয়; গাছপালা এ গাছপালা নয়—আউশ চালের ভাত আর ভিজে ভাত খেয়ে মনে হোত যেন শটীর পায়েস—
—আহা, বেশ লাগচে। বলুন তারপর কি হোল—
—পরের ব্যাপার খুব সংক্ষেপ! সে দেশ বেড়াতে চাইলে, আমিও দেখলাম পাড়াগাঁয়ের মেয়ে, পরের গলগ্রহ হয়ে পড়েছিল। কখনো কিছু দেখেনি। আমি না দেখালে ওকে দেখাবে কে?
—আপনাকে বেশ ভালবাসতেন তো?
খুব। মেকি জিনিস আমাদের চোখে ধরা পড়ে যায়। তার ভালবাসা না পেলে কি আর নেশা জমতো রে ভায়া?
—তারপর দেশ বেড়ালেন?
—হ্যাঁ। কালনা গিয়েচি, মধুমতী নদীতে নৌকা চড়ে কালীগঞ্জের বাজারে, বারোয়ারির আসরে গিয়েচি—ওদিকে বসিরহাট, টাকী—হাসানাবাদ—জ্যোৎস্নারাতে টাকী বাবুদের বাগান বাড়িতে দু’জনে বেড়িয়েচি তার মনে কোন দুঃখু রাখিনি। কলাকতায় নিয়ে যাবো, সব ঠিকঠাক—এমন সময় ভায়া, আসমালির বাজারে গেলাম গান গাইতে। ওকে নিয়ে গেলাম। সেখানে হাটে বড় বান মাছ কিনলাম এক জোড়া রাত্রে সেই মাছ খেয়ে দুইজনেই সকালে ভেদবমি। অনেক কষ্টে আমি বেঁচে উঠলাম, সে দুপুরের পরে মারা গেল। সে কখন গিয়েচে, আমি তা জানি না, আমার তখন জ্ঞান