—খুব ভালো করেচ। আচ্ছা, তোমার মনে হয় তুমি উচ্ছন্ন গিয়েচ?
—বোসো এখানে। মাঝে মাঝে গেরস্ত বাড়ির বৌ ঝি গঙ্গাস্নান কোরতে যেতো, দেখে হিংসে হোত। এখন আমার যেন আর সে রকমটা হয় না!
—না হওয়ার কারণ কী?
পান্না আমার দিকে চেয়ে সলজ্জ হেসে মুখ নীচু করলে। বললে—চা খাবে না? খাওনি তো সকালে। না, সে তোমাকে বলা হবে না। শুনে কি হবে? চা চড়াবো? খাবার আনিয়ে রেখেচি, দিই।
—না, আমি ঝড়ু ভাবওয়ালার বাসায় চা খাবার খেয়ে এলাম। তুমি তখন ঘুমুচ্ছিলে। সেখানেই এতক্ষণ ছিলাম।
—ওমা, দ্যাখো দিকি? আমি কি করে জানবো, আমি তোমার জন্যে গরম জিলিপি আর কচুরি আনিয়ে বসে আছি। খাও খাও—
—তুমিও খাওনি তো? সে আমি বুঝতে পেরেছি। তুমি যখন দেখলে এত বেলা হয়ে যাচ্চে, তোমার ভাবা উচিত ছিল আমার চা খাওয়া বাকি নেই। তুমি খাবারও খাওনি, চাও খাওনি নিশ্চয়ই। ছি, নাও চড়াও চা, আমিও খাবো।
ঝাড়ু মল্লিক ভাবওয়ালার ওখানে সন্ধ্যায় আমার নিমন্ত্রণ। পান্নাকেও নিয়ে যেতে বলেছিল।
পান্নাকে বললেও কিন্তু ও যেতে চাইলে না। বললে—