পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অথৈ জল ad কাটা যাচ্ছে-ওর ঘরে সোমািত্ত মেয়ে, অথচ উনি দারোগা রামপ্রসাদের দিকে চেয়ে বললে-একি শুনছি ? আপনাকে এতক্ষণ আপনি” বলছিলাম, কিন্তু আপনি তো তার , যোগ্য নন-‘তুমি' বলতে হচ্ছে এইবার। তুমি দেখছি অমানুষ।. ভদরলোকের গ্রামের মধ্যে বাস করে যা কাণ্ড তুমি করছে, ব্রাহ্মণের ছেলে না হোলে তোমাকে আজ চাবকে দিতাম ! বদমাশ কোথাকার ! রামপ্রসাদের মুখ অপমানে রাঙা হয়ে এতটুকু হয়ে গেল ! সে হাজার হোক, গ্রামের সন্ত্রান্ত বংশের ছেলে, চশমা চোখে, ফরসা পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে বেড়ায়, যদিও লেখাপড়া কিছুই জানে না-এভাবে সর্বসাধারণের সমক্ষে জীবনে কখনো সে অপমানিত হয়নি। লজা ও ভয়ে সে সন্ধুচিত হয়ে পড়লো । পুলিশকে এই সব পল্লীগ্রামে বিশেষ ভয় করে চলে লোকে, তার সঙ্গে যোগ-সাজস করেছে আমার মত ডাক্তার, এ অঞ্চলে যার যথেষ্ট পাসার ও প্রতিপত্তি । ভয়ে ও অপমানে রামপ্রসাদ কাঠের মত আড়ষ্ট হয়ে দারোগার টেবিলের সামনে দাড়িয়ে अछेल । দারোগ বাজখাই আওয়াজে ধমক দিয়ে বললে-উত্তর দিচ্ছে না যে বড়, বদমাশ কঁহাকা । রামপ্রসাদ আমতা আমতা করে কি বলতে গেল, কেউ বুঝতে পারলে না । . আমি তবুও একটা কথা দারোগাকে বলিনি। সেটা হোল শাস্তির বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা। শান্তি যতই