—তুমি নির্ভাবনায় বসে খাও। আমি থাকতে তোমার ভাতের অভাব হোতে দেবো না। তুমি যদি চুপ করেও বসে থাকো তাহলে আমি চালিয়ে যাবো। আমার আয় কত জানো?
—কত?
—যদি ঠিক মতো বায়না হয়, আর মাটি, তবে মাসে নব্বই টাকা থেকে একশো টাকা। তোমার ভাবনা কি? তোমার বাবুগিরির জুতো আমি কিনে দেবো, কাঁচি ধুতি আমি কিনে দেবো—
কাঁকরোল ভাতে দিয়ে ভাত খেতে খেতে পান্না ওর আয় আর ঐশ্বর্য্যের কথা যে ভাবে বর্ণনা করলে তা আমার খুব ভাল লাগলো। ওর কোন কাণ্ডজ্ঞান নেই দেখচি। কাকে আয় বলে—ও কিছু জানে না। একটা অপারেশন কেসে আমি আশি টাকা রোজগার করেছি একটিমাত্র বিকেল বেলাতে। পান্না আমায় ওর আয় দেখাতে আসে। আমার হাসি পায়। আসলে বয়েস এর কম বলেও বটে আর সামান্যভাবেই ওদের জীবন কেটে এসেচে বলেও বটে, বেশি রোজগার কাকে বলে সে সম্বন্ধে কোনো ধারণা নেই ওর। এর আগেও তা আমি লক্ষ্য করেছি। পান্না হাসতে হাসতে বলেচে—বাবুর এক জোড়া ভালো জুতো চাই বুঝি? চলো এবার কলকাতায় গিয়ে জুতো কিনে দেবো। কাল সতের টাকা প্যালা পেয়েছি আসরে, জানো? ভাবনা কি আমাদের? হি-হি—
ও দেখচি খাঁটি আর্টিষ্ট মানুষ। ঝড়ু ভাবওয়ালা আর ও